কানাইঘাটের মঈন উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

8

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
করোনার উপসর্গ নিয়ে কানাইঘাট পৌরসভার বায়মপুর গ্রামের পাথর শ্রমিক মঈন উদ্দিন ডালিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৭টার দিকে মারা যান। বিকাল ৪টায় নিজ গ্রাম বায়মপুর জামে মসজিদে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ৬ জনের অংশগ্রহণে মঈন উদ্দিন ডালিমের জানাযার নামাজ শেষে মহল্লার কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পৌরসভার বায়মপুর গ্রামের পাথর শ্রমিক মঈন উদ্দিন ডালিম গলাব্যাথা ও মারাত্মক শ^াসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসলে তাকে করোনা সন্দেহে ডাক্তাররা আইসোলেশন বেডে ভর্তি করেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে গতকাল শুক্রবার সকালে সুরক্ষার মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্সে করে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল সিলেটে তাকে পাঠানো হয়। সেখানে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঈন উদ্দিন ডালিম। তাকে কড়া ব্যবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ আব্দুল্লাহ শাকিরের নেতৃত্বে দারুল উলূম মাদ্রাসার আলেম ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম মৃত মঈন উদ্দিন ডালিমের গোসল, জানাযা ও দাফনের কাজ সম্পন্ন করেন। জানাযার নামাজে ৬জন অংশগ্রহণ করেন। এ সময় থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া মঈন উদ্দিন ডালিম করোনায় মারা গিয়েছেন কি না তার ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফুদ্দিন নাহিদ বলেছেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত মঈন উদ্দিন ডালিম বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন। আমরা তাকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করি। সেখানে তিনি আজ মারা যান। তিনি করোনায় মারা গিয়েছেন কি না আগামীকালকের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হব। এদিকে গত ৩দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেস্টিং টিউব না থাকায় করোনা সন্দেহ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা বন্ধ রয়েছে। আজ রবিবার থেকে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরফুদ্দিন নাহিদ জানান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০০টি কিট সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রদানের সিন্ধান্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শনিবার সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন ইমরান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে আমার সাথে কথা বলেছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০টি কোয়ারেন্টাইন বেড প্রস্তুত করার জন্য বলেছেন। সেই আলোকে ইতিমধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পিপিই সহ গাউন, মাস্ক, গ্লোবস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ২৭জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২৫জন সিএইচপি, ৮জন সহকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই, গাউন, মাস্ক, গ্লোবস প্রদানের প্রস্তুতি চলছে।