৫ এপ্রিল থেকে সব জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর খোলা থাকবে

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ৫ এপ্রিল থেকে দেশের সব জিপিও, প্রধান ডাকঘর জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময় এসব ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেনের পাশাপাশি সীমিত আকারে ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবা প্রদানের জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে বলে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়ে জনস্বার্থে ডাকসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনস্বার্থে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে ডাকঘর খোলা রাখতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
গৃহীত সিদ্ধান্তের আওতায় উপজেলা ডাকঘরগুলো সীমিত পরিসরে উপযুক্ত সেবাদানের জন্য খোলা থাকবে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল বা ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা পর্যায়ে জরুরি ডাক পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে ডাক বিভাগের নিজস্ব মেইল গাড়ি শুধুমাত্র দিনের বেলা চলাচল করবে।
ক্যাশ সঞ্চালন ও ট্রেজারি লেনদেনের জন্য ডাক বিভাগের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ট্রেজারি লেনদেন ও নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণ ও প্রেরণের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও করোনাভাইরাস মোকাবিলা সংক্রান্ত সামগ্রী অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হবে। সব ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণের সময় ডাকদ্রব্যের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ই-কমার্স ও পার্সেল শুধু বিতরণকারী ডাকঘর থেকে  (Window Delivery) গ্রাহক গ্রহণ করতে পারবেন। ঘরে ঘরে কোনও ডাকদ্রব্য বিতরণ করা হবে না। ই-কমার্স ও পার্সেলের প্রাপককে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে ডাকদ্রব্য সম্পর্কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পারস্পরিক ডাক বিনিময়  (Radial System)

পদ্ধতিতে জিপিও ও প্রধান ডাকঘরকেন্দ্রিক ডাক বাছাই, ডাক ব্যাগ বন্ধন ও ডাক প্রেরণ করতে হবে। সব স্তরের কর্মচারীদের পাওনা বেতন ভাতাদি সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। অবসরভোগীদের অবসর ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষেত্রমতো অবসরভোগীরা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে অবসর ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন। ছুটিকালীন ডাকঘরে কর্মরত সবাইকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।