লাল মিয়ার উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা পেল শতাধিক পরিবার

13

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ে আবারো মানবতার সেবায় এগিয়ে এলো সেই যুবক লাল মিয়া। ৮ম শ্রেণি পাশের ৩৩ বছরের এই যুবক মঙ্গলবার রাতে আরো ১০০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। এই মুহূর্তে দেশের বড় বড় বিত্তবানরা যা করতে পারেনি বাস্তবে তাই করে দেখিয়ে দিয়েছে সে। মানবতার এই নেতা সুনামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম তেঘরিয়া আবাসিক এলাকার স্বর্ণালী ৯ নং বাসভবনের বাসিন্দা মৃত গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে। ব্যবসায়ী কোম্পানী ওয়ালটন এর সুনামগঞ্জ সোরুমে সামান্য বেতনের একজন পিওন। মঙ্গলবার রাতে দরিদ্র মানষের ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্যাদি পৌছে দেয়ার মূল উদ্যোক্তা সে নিজে হলেও সবকিছু কিন্তু একক কৃতিত্বের দাবীদার হিসেবে সে নিজেকে মনে করেনা।
এলাকার ব্যবসায়ী রকি, চাকরীজীবী মহিম, পাড়ার ছেলে জাকির, তায়েফ, লিপন, আনাস, তোফাজ্জল, তানভীর ও হাসানসহ আরো অনেককে সাথে নিয়ে সে সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছে তার এই মানবিক কাজটি। চাল ডাল তেল পেঁয়াজ আলু আদা ও সাবানসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যই রয়েছে তার দেয়া খাদ্যসামগ্রীতে। লাল মিয়া জানায় এই কাজটি করতে গিয়ে আমি সর্বপ্রথম আমার পকেট থেকে কিছু টাকা বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছি। তারপর বন্ধুরা কিছু টাকা দিয়েছে। এরপর আমরা এলাকার স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েছি। তাঁরা অনেকেই আমাদের উৎসাহ দেখে টাকা পয়সা ও বাজার সদাই দিয়েছেন। কেউ কেউ বিকাশে টাকা পাটিয়েছেন। অথচ কেউই প্রচারে আসতে চাননা। আমিও এসব ভালমানুষের ভালবাসা ও মানবতাবোধ দেখে মারাত্মকভাবে উৎসাহ বোধ করে আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা যাদেরকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি তারা নিতান্তই অসহায় মানুষ। পৌরসভা বা অন্য কোন সরকারী সাহায্য তাদের ভাগ্যে জীবনেও ঘটেনি। এই কাজটি করার পেছনে আমার উদ্দেশ্য একটাই সমাজের বিত্তবান মানুষরা যাতে সকল অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন। একজন পিওন হয়ে একশত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই ইচ্ছে করলে ধনী লোকেরা আরো বড় পরিসরে মানুষের জন্য সেবা প্রদান করতে পারেন।