কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রতিদিন করোনা দাপট দেখিয়ে কেড়ে নিচ্ছে অজগ্র প্রাণ। গত একদিনে নতুন করে আক্রান্ত করেছে বিশ্বের এক লাখ মানুষকে। মোট আক্রান্ত তাই ছয় থেকে বেড়ে এখন ৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি। বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি প্রায় ৩৪ হাজার। রবিবার যা ৩০ হাজার ছাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত। ভাইরাসটির কবলে পড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিতে হয়েছে ইতালিকে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাটা এখন ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই। এদিকে স্পেন সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ৮৩২ জন। দেশটিতে মোট মৃত ৬ হাজার ৮০৩।
চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে। ভাইরাসটি প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৪১ হাজারের বেশি আক্রান্ত। করোনায় প্রাণহানিতে চীনকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে ইতালি এবং স্পেন। ইউরোপের বাকি দেশগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ।
ভৌগলিক সীমানাকে তোয়াক্কা না করা এই ভাইরাস পৃথিবীর সব মহাদেশের মানুষকে এমন একটা অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে যে গোটা বিশ্ব এখন করোনা নিয়ে আতঙ্কিতই শুধু নয় শঙ্কিতও। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৩০০ কোটির অধিক মানুষ এখন লকডাউন বা বাংলা ভাষায় যাকে বলে ঘরবন্দি।
বিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশাল এক অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে বিশ্ব। এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে প্রথম সারির দেশগুলোও। হাজার হাজার কোটি ডলার প্রণোদনা দিচ্ছে অনেক দেশ। তবে ভাইরাসটির কাছে এটাকেও খুব সামান্য বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্ধশতাধিক প্রথম সারির নেতা করোনায় আক্রান্ত। এশিয়ার অবস্থাও নাজুক। সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে ইরান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এশিয়াকে সতর্ক করে বলেছে, এই অঞ্চলটিও করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, যদি সরকারগুলো আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেয়।
তবে ভাইরাসটির উৎপত্তি চীনের যে প্রদেশে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা টানা কয়েকদিন ছিল না। যারা আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তারা সবাই বিদেশ ফেরত। তবে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকায় দ্বিতীয় দফা করোনা ‘বিষ্ফোরণের’ শঙ্কা তৈরি হয়েছে।