বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দিতে ব্যাংকে যেতে হবে না, বিলম্ব মাশুল মওকুফ

14

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে এখনই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সময় করে আস্তে-ধীরেই লাইন ছাড়া বিল দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। জুন মাস পর্যন্ত গ্যাসের বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে আর বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না গ্রাহকদের। অন্যদিকে মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। করোনা প্রতিরোধে বিলম্ব মাশুল সাময়িক সময়ের জন্য মওকুফ করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবসিক গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন বলেন, আমরা গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেছি। বিলম্ব মাশুল না নেওয়ার কারণে আস্তে-ধীরে গ্রাহকেরা তাদের গ্যাস বিল দিতে পারবেন। ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আর ফেলতে হবে না। অথবা অন্য কোনও কারণেও যদি বিল দিতে দেরি করেন তাও জুন পর্যন্ত তার বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে।
তবে গ্যাসের মতো বিদ্যুতে জুন মাস পর্যন্ত নয়, তিন মাসের সারচার্জ ও বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, করোনা প্রতিরোধে গৃহস্থালির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বিলম্ব মাশুল ও সারচার্জ সাময়িক সময়ের জন্য মওকুফ করেছে তারা। গ্রাহকরা গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসের বিল কোনও বিলম্ব মাশুল ছাড়াই পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আইরিন পারভীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।এই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল পরিশোধ করতে পারবেন না বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে এই তিন মাসে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনও বিলম্ব মাশুল বা সারচার্জ দিতে হবে না। অবিলম্বে বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর মাধ্যমের এই আদেশ কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ শুধু আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।