কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ১৩টি স্কিন ক্রিম পরীক্ষা করার পর ৬টিতে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে এ ৬টি ছাড়া আরও দুটি ব্র্যান্ডের ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায়। আটটি ব্র্যান্ডই পাকিস্তানি।
মাত্রার চেয়ে বেশি পারদ ও হাইড্রোকুইনোন মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। তারা বলছে, এসব স্কিন ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তাদের নিয়মিত পরিদর্শন দলের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে পরীক্ষা করা হয়। স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯) অনুযায়ী মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম। আর হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম।
পরীক্ষায় পাকিস্তানের গোরি কসমেটিকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের গোরি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৭৫৬ পিপিএম, এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬৩০ পিপিএম, কিউ সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৫৯০ পিপিএম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ২৮৬ পিপিএম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকসের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬৫৪ পিপিএম ও পুনিয়া ব্রাদার্সের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ৫৯০ পিপিএম পারদ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ১৯৪ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮১ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৯৪৯ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৫ পিপিএম পাওয়া গেছে।
বিএসটিআই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফরসাকারী ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক/সরবরাহকারী/বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিএসটিআইর অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআইর লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে পণ্য কেনার অনুরোধ জানানো হয়।