কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকায় এসে পৌঁছেছে স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম নমুনা কোচ। সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে কনটেইনার থেকে বের করা হয়েছে কোচটির মোড়ক। এটি মূলত নমুনা কোচ। মেট্রোরেলে চড়তে এই কোচটির মাধ্যমে যাত্রীদের শেখানো হবে। তবে মূল পরিবহন বহরে এই কোচ যুক্ত হবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে কোচটি। এই কোচ শুধু প্রদর্শন করা হবে। মূলকোচগুলো যে উপাদান দিয়ে যেভাবে তৈরি করা হবে এটিও সেভাবেই তৈরি হয়েছে। উত্তরায় মেট্রোরেলের তথ্যকেন্দ্রে এটি সাধারণ মানুষের দেখার ও শেখার জন্য প্রদর্শিত হবে।
কোচটি প্রদর্শনীর জন্য আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে। আর যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, প্রদর্শনীর জন্য কোচটি আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে। আর যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, গত একবছর ধরে জাপানে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের (ওসিসি) সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেয়া হবে।
আগামী ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে জনগণ মেট্রোরেলে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে আসা মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের প্রতি র্যাকে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী পরিবহন করবে। তবে বেশিরভাগ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর। প্রতিটি কোচের দু’দিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দু’টি হুইলচেয়ার পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।