কাজিরবাজার ডেস্ক :
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা চলছে থার্মোমিটার দিয়ে। ভাইরাসটি শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাস শনাক্তে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে দুই জনকে পাঠানো হয়েছে। তারা একটি থার্মাল স্ক্যানার (আর্চওয়ে বা দরজার চৌকাঠের মতো দেখতে এক ধরনের যন্ত্র, যাতে জ্বর মাপা হয়) নিয়ে এসেছেন। কিন্তু স্ক্যানারটি বিকল। তাই এখন থার্মাল স্ক্যানারের কাজ সারা হচ্ছে থার্মোমিটার দিয়ে।
ওসমানী বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আর বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য যন্ত্রটি আগে থেকেই বিকল ছিল, জানালেন সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল।
তিনি বলেন, যন্ত্রটি আগে থেকেই নষ্ট ছিল। সেটি কাজ করছে না। এখন নর্মাল (মিনি) থার্মোমিটার দিয়ে ওসমানীতে যাত্রীদের পরীক্ষার কাজ চলছে। সিলেটের তিনটি শুল্ক স্টেশন ও বিমানবন্দরের জন্য চারটি থার্মাল স্ক্যানার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছি। জবাবে বলা হয়েছে, এখন সংকট রয়েছে, দেওয়া যাবে না।
এদিকে, সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর, শেওলা ও জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে আসা পর্যটকদের পরীক্ষায় সাধারণ থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তামাবিল শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী সিভিল সার্জন ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে শুল্ক স্টেশনে করোনাভাইরাস শনাক্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৭ শত যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা নরমাল থার্মোমিটার ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।