স্টাফ রিপোর্টার :
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের বারবার অভিযানের পরও কোম্পানীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে পাথর তোলা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর তুলতে গিয়ে একের পর এক প্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এবার অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে পাথর শ্রমিকদের কোয়ারি থেকে নিজ নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানুর নেতৃত্বে মৃত্যু কোপ নামে পরিচিত শাহ আরফিন টিলায় ঝুঁকিপূর্ণ পাথরের গর্তে কাজ করা শ্রমিকদের টিলা থেকে সরিয়ে নৌকা ও বাস যোগে স্বল্প ভাড়ায় বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেয় পুলিশ । এসময় প্রায় ৫ হাজার ৫শ’ শ্রমিকের ৩০০টি তাঁবু ভেঙে শ্রমিকদের ব্যবহৃত থানা-বাসন, কাপড়, টুকরি, বেলচা ইত্যাদিসহ বাড়িতে পাঠানো হয়।
এদিকে পাথরের গর্তে চাপা পড়ে অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও দাপট কমছে না পাথরখেকোদের। তবে এবার শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তায় অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
এর আগে ১৫ দিনের ব্যবধানে পাথরের গর্তে মাটিচাপা পড়ে চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেন পুলিশ। অভিযান চালিয়ে সব কয়টি পাথর কোয়ারিতে শ্রমিক ও পাথর খেকো শূন্য করে দেয়। অন্যদিকে সোমবার অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এ সময় ২১টি পাথর কোয়ারি ও প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। অন্যদিকে থানা পুলিশ মঙ্গলবার মাইকিং করে পাথর তোলা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু জানান, কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত শাহ আরফিন টিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়। এখানে ৩০০টি ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে থাকা তাঁবুগুলো উচ্ছেদ করে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিককে নৌকা ও বাস যোগে স্বল্প ভাড়ায় নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, পাথর শ্রমিকের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু ঠেকাতে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে ৩ দিন ধরে এ এলাকায় পাথর তোলা বন্ধ রয়েছে।