সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, মাদক, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে এবং এ সমস্যা থেকে উত্তীর্ণ হতে হলে আমাদেরকে মনিটরিং বাড়াতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধের ক্ষেত্রে কাজী ও পুরোহিতদেরকে সজাগ থাকতে হবে যাতে কোন অবস্থায় বাল্যবিবাহ নামক অনাখাংখিত ঘটনা না ঘটে। মেয়েদের ১৮ ও ছেলেদের বয়স ২১ বছর বয়স না হলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখাদেয় যা পরবর্তীতে বিশাল ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
৪ ফেব্র“য়ারী দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিম সদর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ও জাপান ইটারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জাইকার সহযোগিতায় মাদক জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী, জালালাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ অকিল উদ্দিন আহমদ, ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হিরন মিয়া, ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভাররাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল জাহির।
ইমামদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোল্লারগাঁও জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আব্দুল হক, নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের পক্ষথেকে বক্তব্য রাখেন কাজী মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পুরহিতদের পক্ষথেকে বক্তব্য রাখেন মেদিনী মহল আখড়ার পুরহিত মাধব দাস মোহন্ত।
উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রব্বানী মজুমদার, ফতেহপুর জামেয়া রহমানিয়া তায়িদুল ইসলাম কামিল মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা শামসুদ্দোহা, জাঙ্গাইল সফির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ রশিদ আহমদ প্রমুখ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সৈয়দপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সহ সুপার মাওলানা শাহজাহান সিরাজ, গীতা পাঠ করেন সদর উপজেলা পরিষদের সিএ-২ তাপস চন্দ্র পাল। বিজ্ঞপ্তি