জগন্নাথপুর কুশিয়ারা নদীতে ভেসে উঠেছে প্রাকৃতিক সম্পদ বালুচর, আনন্দের বন্যা

5

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর বুক ছিড়ে ভেসে উঠেছে প্রাকৃতিক সম্পদ বালুচর। এই প্রথম বারের মতো দালান তৈরির জন্য উন্নত মানের বালু পাওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলা বাসীর মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।
৫ ফেব্র“য়ারি বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মাণাধীন রাণীগঞ্জ সেতুর দক্ষিণে নদীর অধিকাংশ শুকিয়ে যাওয়া স্থানে বালুচর ভেসে উঠেছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর নদী শুকিয়ে বালু মাটি ভেসে উঠলেও এবার প্রথম দালান তৈরির প্রকৃত উন্নত মানের বালু পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখে এলাকাবাসী চমকে উঠেছেন। হঠাৎ করে প্রাকৃতি সম্পদ আসল বালু পেয়ে মানুষ আনন্দিত হয়েছেন। তবে রাণীগঞ্জ বাজার এলাকার কুশিয়ারা নদীতে প্রায় আধা কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে বালু পাওয়া গেলেও কসবা এলাকায় আরো প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালুচর রয়েছে। এসব বালু সংরক্ষণ করতে পারলে সুনামগঞ্জ সহ দেশের অন্য স্থান থেকে জগন্নাথপুর বাসীকে আর বালু আমদানী করা লাগবে না বরং রপ্তানী করা যাবে। তাই এসব প্রাকৃতিক সম্পদ বালু রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এদিকে-দালান নির্মাণকারী কয়েকজন ঠিকাদার জানান, রাণীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে পাওয়া বালু খুবই উন্নত। এসব বালু দিয়ে দালানের আস্তর ফিনিশিং করা হয়। যে কারণে এ বালুর দাম অনেক বেশি। বর্তমানে এসব বালু প্রতি ফুট ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, কুশিয়ারা নদীতে ভেসে উঠা বালু চরকে বালু মহাল হিসেবে চিহিৃত করে সরকারি ভাবে লীজ প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে লীজ নিয়ে মানুষ বৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে পারবেন।