বড়লেখায় শিশু ও কমলগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার, দুই ধর্ষক গ্রেফতার

23
কমলগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক আব্দুস সালাম।

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখায় শসা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে বলৎকার করেছে ৬ সন্তানের জনক এলাকার চিহ্নিত চিচকে চোর আমির উদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। ভিকটিম শিশু (৬) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারী উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর গ্রামের দিনমজুর আসাদুল ইসলামের ছেলে (৬) সমবয়সীদের সাথে মাঠে খেলা করছিল। এসময় এলাকার চিহ্নিত চিচকে চোর লম্পট আমির উদ্দিন শিশুটিকে ডেকে নিয়ে শসা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সবজি ক্ষেতের অস্থায়ী বাসায় বলৎকার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুর মা বৃহস্পতিবার লম্পট আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলা রুজুর পর রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ী থেকে আসামী আমির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জসীম জানান, শিশু বলৎকারের অভিযোগে গ্রেফতার আসামীকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ২০২০ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সালাম (২৪) নামে বখাটে এক যুবককে গত বৃহস্পতিবার রাতে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক সালাম উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের তাজর মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জানুয়ারি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বড়খোলা গ্রামে ঘটলেও একসপ্তাহ পর থানায় মামলা হয়।
কমলগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বড়খোলা গ্রামের তাজর মিয়ার বিবাহিত ছেলে একই ইউনিয়নের চিৎলীয়া গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রী (দাখিল পরীক্ষার্থী) কে গত ২২ জানুয়ারি রাত ৮ টায় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে রাজকান্দি (বড়খোলা) এলাকার ছাদ উদ্দিনের বাড়িতে আটকিয়ে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়ের বাবা ইউনিয়ন চৌকিদার হারিছ মিয়ার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ থানার এএসআই আনিছুর রহমান ও রিপন সরকার অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে রাজকান্দি গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়ি থেকে আটক করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। মেয়েটি বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীর পিতা হারিছ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে বখাটে সালাম প্রায়ই উত্যক্ত করতো। ঘটনার দিন ফাঁকা পেয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পরের দিন রাতে বাড়ির রাস্তায় ফেলে যায়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ পেয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। আটক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।