কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার টাস্ক ফোর্সের অভিযান চালানো হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের অভিযানে গত দু’দিনে কোয়ারীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলনের যান্ত্রিক বাহন, মেশিনারী যন্ত্রপাতি ও পাথর উত্তোলনের প্লাষ্টিক পাইপ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি পাথরের গর্তের বাধ কেটে ফেলে পানিতে তলিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের অভিযানের ফলে কোয়ারীতে পাথর উত্তোলন প্রায় বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দিনভর কোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টিম গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের নেতৃত্বে সিলেট জেলা ও কানাইঘাট থানা পুলিশের অর্ধ শতাধিক সদস্য ও লোভছড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবারো কোয়ারীতে টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়। পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ অভিযান চালান নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আনোয়ার জাহিদ। দ্বিতীয় দিন লোভাছড়া চা-বাগানের ঘাট থেকে শুরু করে ভালুকমারা পর্যন্ত কোয়ারীর প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় অভিযান কালে ৩টি এস্কেভেটর, ১টি ফেলোডার, ১৭টি হেভি ডিউটি পাম্পিং মেশিন ধ্বংস ও পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং শত শত ফুট পাথর উত্তোলনের পানি সেচের প্লাষ্টিক পাইপ কেটে ফেলা হয়। পাথর কোয়ারীতে অভিযানের সময় পাথর উত্তোলন বন্ধ করে পাথর শ্রমিকরা নিরাপদ স্থানে চলে যায় এবং চটকে পড়েন পাথর ব্যবসায়ীরাও। নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ইজারার শর্ত লংঘন করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বড় বড় গর্ত করে যান্ত্রিক বাহন দিয়ে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো কোয়ারীতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। বেআইনী ভাবে পাথর উত্তোলনে যান্ত্রিক বাহন মেশিনারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় দুইদিনের অভিযানে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের যান্ত্রিক বাহন ধ্বংস করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।