কাজিরবাজার ডেস্ক :
সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১৬ বছরের নিচে কেউ ভিকটিম হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রণয়ন করায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার যে বিধান রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র এ্যান্টিরেপ ডিভাইস সরবরাহ করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ দেয়।
সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রিট মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিনিধি, সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, গণমাধ্যম একজন করে কর্মীদের প্রতিনিধি, আইনজীবী, বিচারক, সমাজের সচেতন নাগরিক, বিশিষ্টজন, চিকিৎসক প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে গঠন করতে হবে। রবিবার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেয়। কমিটিকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে কেউ ভিকটিম হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রণয়ন করায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার যে বিধান রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করা হবে না, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য কেন ডিএনএ ডেটাবেজ করা হবে না, প্রতি জেলায় ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদের সুরক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কেন সতর্কতা অবলম্বন করা হবে না, সব ধরনের ধর্ষণের অপরাধের জন্য কেন পৃথক একটি আদালত গঠন করা হবে না, ওই আদালতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ধর্ষণের জন্য পৃথক পৃথক নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া।