১৬ উপজেলায় চালু হয়েছে কৃষক এ্যাপ ॥ ঘরে বসেই ধান বিক্রি করছেন চাষী

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি এ্যাপের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রয়ের আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর এটি কি অবস্থায় আছে তা তিনি এই এ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কৃষক নির্বাচনী লটারিতে বিজয়ী হলে এবং বরাদ্দাদেশ পাওয়ার বিষয়টি তিনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন। এবারের আমন মৌসুমে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১৬ জেলার ১৬ উপজেলায় কৃষক এ্যাপ চালু হয়েছে। এই এ্যাপের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই অনলাইনে ধান বিক্রির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।
প্রযুক্তির কল্যাণ এখন কৃষকের কল্যাণে যুক্ত হয়ে কৃষিজীবী মানুষের জীবনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার এই দুরবস্থা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঠিক দিক নির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদফতর মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বর্তমান আমন-২০১৯ মৌসুমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিল। কৃষকের এ্যাপটি মূলত স্মার্টফোনে ব্যবহারোপযোগী একটি এ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যার। এটি ডিজিটাল ধান/খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেটি শুধু কৃষকরা ব্যবহার করবে। কৃষক যেন আঙ্গুলের ছোঁয়ায় সরকারী সেবা পেতে পারে, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই এ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ইতোমধ্যে পাইলটিং-এর অন্তর্ভুক্ত ১৬ উপজেলার ১ লাখ ৪১ হাজারের বেশি কৃষক এ এ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন আবেদন করেছে। এখনও পর্যন্ত এ এ্যাপটি ২৬,০০০-এর বেশি পরিমাণ ডাউনলোড হয়েছে। কৃষক নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ এবং ধান বিক্রয়ের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯। এরপর ২৫ ডিসেম্বরের কম্পিউটারভিত্তিক লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কারিগরি সহযোগিতায় এ্যাপটি প্রস্তুত করা হয়েছে।