গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের প্রধান ফটক বদলে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন থেকে পরিষদের আঙ্গিনা অপরিষ্কার ও বিভিন্ন ভবনে রং কিংবা সৌন্দর্য্য বর্ধনে কোন কাজ না হওয়ায় অনেক ভবনের দেয়ালের রং খসে পড়তে শুরু করেছিল। বিশেষ করে পরিষদের প্রবেশ মুখের প্রধান ফটকসহ আশপাশে ছিল কঁচুবন আর বিভিন্ন আগাছা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ইতিপূর্বে পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধ মুর্যাল যা পরিষদ প্রাঙ্গণকে সৌন্দর্য বর্ধনে অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে অদ্যবধি (চলমান) পরিষদ প্রাঙ্গলের ফটকমুখ ধারেই গোলাপগঞ্জ পৌরসভার অর্থায়নে ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ। এর ফলে ঐতিহ্যবাহী এই পরিষদ প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য্য অনেকগুণ বেড়ে গেলো বলে জানান পরিষদে বিভিন্ন কাজে আসা অনেকেই।
রনকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়মীলীগের সাবেক সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু বলেন, পরিষদের প্রধান ফটকের দুপাশের্^ উত্তর দক্ষিণে লম্বা সীমানা প্রাচীরের পাশে পূর্ণাঙ্গ মাটি ভরাট না করার ফলে সেখানে জন্ম নিয়েছে কঁচু বনসহ বিভিন্ন আগাছা। যদি কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ মাটিভরাট করে প্রবেশদ্বারের দু’পাশে সৌন্দর্য্যবর্ধনে বিভিন্ন ফল কিংবা ফুলের বাগান করলে অনেকটা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।
গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে ৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন স্মৃতি সৌধ। তাছাড়া পরিষদ প্রাঙ্গণের ভিতরে আরো দুটি সড়কের কাজ হবে। তবে ঐতিহ্যবাহী আমাদের এই গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্য বর্ধনে আমি যথেষ্ট আন্তরিক রয়েছি। আগামীতে পর্যায়ক্রমে আরো অনেক কাজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু মুর্যাল নির্মাণ করেছি এবং স্মৃতিসৌধের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আরো প্রয়োজনীয় কাজ হবে।
উপজেলা চেয়াম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই উপজেলার অনেক সুনাম রয়েছে। আমি উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য্য বর্ধনে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই বৎসর কেন্দ্র থেকে চাহিদামত প্রজেক্ট বা উন্নয়নের জন্য আশানুরুপ কিছু পাইনি। আশাবাদী উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্ধ হলে প্রয়োজনীয় কাজ-সহ সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করব।