কমলগঞ্জে সন্তানের সামনে মা-সহ গণধর্ষণের শিকার দুই নারী যাত্রী, অভিযুক্ত ৭ জনসহ সিএনজি অটোরিক্সা চালক আটক

13

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দেওরাছড়া চাবাগান এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২ নারী যাত্রী। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক বয়স ২৮ এবং অন্যজনের ২৪। শুক্রবার রাতে ৯টার দিকে গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে এবং রাতেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযানে বের হয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনায় ব্যবহৃত ৩টি সিএনজি এবং ৭ আসামিকে আটক করেছে। ধর্ষণের শিকার ২নারী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয় সুত্রে এবং গণধর্ষনের শিকার দুই নারীর জবানবন্দিতে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ৮টার দিকে গণধর্ষণের শিকার এই দুই নারী মৌলভীবাজার শহরের পৌর পার্ক থেকে কমলঞ্জের মুন্সিবাজার যাবার উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সায় রিজার্ভ করেন। তাদের সাথে ৩ বছরের একটি শিশু ছিল। সিএনজি অটোরিক্সাটি কিছু দূর যাওয়ার পর ২ জন যাত্রী তুলেন চালক তখন এই দুই নারী বাঁধা দিলে চালক জানায় তার পরিচিত এরা বিপদে পড়ছে সামনে গেলেই নেমে যাবে। পরে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওরাছড়া চাবাগানের এক নির্জন যায়গায় তাদেরকে গণধর্ষণ করে এ সময় তাদের সাথে আরো ৭/৮ জন যোগ দেয়। এক নারীকে ৭ জন মিলে এবং অন্য নারীকে দুইজন মিলে গণধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষকের শিকার নারীর ৩ বছর বয়সী বাচ্চাটিকে মারধোর করা হয়।
ধর্ষণ শেষে এই দুইনারী কৌশলের আশ্রয় নেন, তারা চালককে বলেন যা হবার হয়েছে এবার আমাদের দিয়ে আসেন। চালক তাদেরকে নিয়ে আবার কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে, পথে রহিমপুর ইউনিয়নের বাবুরবাজার নামক স্থানের দোকানে সামনে পৌছানোর আগে একনারী জানান তার একটু জরুরী কাজ আছে এই দোকানে একটু থামতে হবে। দোকানের সামনে থামানো মাত্র তারা চিৎকার শুরু করেন এবং চালক সিএনজি রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপালে পাঠায়।
১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খান জানান, আমার দোকানে ঢুকে তারা অভিযোগ দেয় এ সময় চালক পালিয়ে যায়। জেনেছি তার নাম ইউসুফ মিয়া তার বাড়ী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বনশ্রী। পরে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মী আব্দুল বাছিত খানকে ডেকে আনেন এবং পুলিশকে জানান।
তিনি আরো জানান, গণধর্ষণের শিকার এক নারী তাকে জানিয়েছেন এই ড্রাইভারকে নিয়ে তারা এর আগেও এসেছেন। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধিন আছে এখন পর্যন্ত ৭ জন অভিযুক্ত এবং ৩টি সিএনজি আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসবে তাদেরকে আটক করা হবে। মামলা দায়ের পর তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে ।