ইউজিসি চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি হলে কঠোর ব্যবস্থা

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ^বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার ইউজিসিতে যৌন হয়রানি বন্ধে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি বলেছেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। যৌন হয়রানি হলে যথাযথ ব্যবস্থা হবে।
ইউএন উইমেন আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ইউএন উইমেনের প্রোগাম এ্যানালিস্ট ইরফাত আরা ইভা। কর্মশালায় ইউজিসির সকল বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। এটা অনাকাক্সিক্ষত। ইউজিসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউএন উইমেন এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে ইউজিসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে বিদ্যমান আইনগুলো স্ট্রিমলাইন করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নারীর ক্ষমতায়ন ও লৈঙ্গিক সমতায়নে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়েকে একযোগে কাজ করতে হবে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী নারীরা যাতে নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারে সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে নারী-পুরুষের সমঅধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানির ভয় দেখিয়ে সমাজে নারী-পুরুষকে আলাদা করা যাবে না। তিনি যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালী করা ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া, সকল ধরনের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষা জরুরী বলেও মত দেন তিনি।