সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের অভিযোগ ॥ ইসকনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ ॥ সিলেটে শত বছরের ন্যায় বিচার ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় ইসকন

14

স্টাফ রিপোর্টার :
আদালতের নির্দেশনার পরেও মালিকানাধীন ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি দাবি করে সিলেট ইসকন কর্তৃপক্ষ ভূমি দখল নেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিশ্বনাথ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র ধর (রণ)। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সিলেট মিউনিসিপালিটির ৯১নং জেএল এর ৯২২,২৩ ও ৭২৪, ২৫ দাগের দশমিক ৭৭ একর জমির মালিক পক্ষ জয়ন্ত লাল সেন গংদের পক্ষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এ জমির মালিকানা নিয়ে জয়ন্ত লাল সেন ও শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এজন্য মামলাও হয়েছে। তবে এসব মামলায় মালিক পক্ষের পক্ষেই রায় এসেছে, আদালত এ ভূমি শত্র“ সম্পত্তি নয় বলে সিদ্ধান্তও দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, রাধা মাধব জিউর আখড়ার পক্ষ থেকে এ ভূমি দেবোত্তর সম্পত্তি দাবি করা হলেও তারা এর স্বপক্ষে কোন দলিল আদালতে প্রদর্শন করতে পারেনি। ফলে প্রকৃত মালিকের পক্ষেই রায় আসে। এ নিয়ে জিউর আখড়া পক্ষ ভূমি আপীল বোর্ডে রিভিউ দায়ের করে, যা শুনানী অন্তে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, গত ৭ ডিসেম্বর এ ভূমিতে গোপনে একটি দেবতার মূর্তি রাখে ইসকন কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে তারা জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন। সিলেটের শত বছরের সামাজিক ন্যায় বিচার ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করে তারা জোর জবরদস্তির মাধ্যমেই এ ভূমি দখলে নেয়ার চেষ্টায় আছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভূমির স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে ইসকন মন্দির সিলেটের এরূপ কাজ আমি মেনে নিতে পারছিনা। প্রভাবশালী ইসকন কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে আইন-আদালত তোয়াক্কা না করেই বিরোধীয় এ ভূমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তা দখলের পাঁয়তায়ায় লিপ্ত রয়েছে। এজন্য তিনি সুশিল সমাজসহ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অমর দাস, সুদর্শন ভট্টাচার্য, জামাল আহমদ, লিলু মিয়া, শাহেদ মিয়া, আব্দুল করিম ও মনসুর আহমদ।