রংপুরকে ৬৮ রানে অলআউট করে বড় জয় কুমিল্লার

10

স্পোর্টস ডেস্ক :
‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’ এর উদ্বোধনী দিনে বড় জয় তুলে নিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। বুধবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সকে ১০৫ রানে হারিয়েছে তারা। কুমিল্লার দেয়া ১৭৪ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬৮ রান করে অলআউট হয়ে যায় রংপুর।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন পেসার আল-আমিন হোসেন।
অন্যদের মধ্যে ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান। ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দাসুন শানাকার ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ৩১ বলে ৩টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক শানাকা। অর্থাৎ, ৭৫ রানের মধ্যে ৬৬ রানই বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন তিনি। রংপুর রেঞ্জার্সের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, লুইস গ্রেগরি ২টি, সঞ্জিত সাহা ২টি ও মোহাম্মদ নবী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ইয়াসির আলী। এরপর রাজাপক্ষের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজের বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ১৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করেন তিনি।
এর পরের ওভারে সঞ্জিতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান রাজাপক্ষে। তারপর ডেভিড মালান ও সাব্বির মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ১২তম ওভারে সঞ্জিতের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মালান।
তার পরের ওভারেই মোস্তাফিজের বলে সঞ্জিতের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ১৪তম ওভারে গ্রেগরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অঙ্কন। এরপর অধিনায়ক দাসুন শানাকা একাই এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। মোস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষমেশ ৩১ বলে ৭৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ১০৫ রানে জয়ী কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ইনিংস: ১৭৩/৭ (২০ ওভার)
(ইয়াসির আলী ০, ভানুকা রাজাপক্ষে ১৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯, দাসুন শানাকা ৭৫*, মহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২, আবু হায়দার রনি ৬, সানজামুল ইসলাম ০*; মোহাম্মদ নবী ১/১৪, জুনায়েদ খান ০/৪৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, তাসকিন আহমেদ ০/২৩, লুইস গ্রেগরি ২/২৫)।
রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ৬৮/১০ (১৪ ওভার)
(মোহাম্মদ শাহজাদ ১৩, মোহাম্মদ নাঈম ১৭, জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে মাহমুদ ১, লুইস গ্রেগরি ০, মোহাম্মদ নবী ১১, সঞ্জিত সাহা ০, জুনায়েদ খান ৩, তাসকিন আহমেদ ১, মোস্তাফিজুর রহমান ৮*, জাকির হাসান –অ্যাবসেন্ট হার্ট; মুজিব উর রহমান ১/৭, আবু হায়দার রনি ১/১৯, আল-আমিন হোসেন ৩/১৪, দাসুন শানাকা ০/৬, সৌম্য সরকার ২/১২, সানজামুল ইসলাম ২/৪, সাব্বির রহমান ০/৪)।
ম্যাচসেরা: দাসুন শানাকা (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।