কাজিরবাজার ডেস্ক :
মন্ত্রী সভায় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে দলের জাতীয় সম্মেলনের আগে এই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রী সভায় যারা ভালো করবে না তাদের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হবে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেমন পরিবর্তন হতে পারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা মন্ত্রী সভার মতোই। মন্ত্রী সভাও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এখানে পারফরম্যান্সের বিষয় রয়েছে। যারা নন-পারফরমার, যাদের পারফরম্যান্স প্যুর, তাদের অহেতুক বড় দায়িত্বে রেখে তো লাভ নেই। সে বিচারে পারফরম্যান্স যাদের প্যুর তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের এখানে কেউ বাদ যাবে না, কেউ বাদ যায় না; দায়িত্বের পরিবর্তন হয়।’
আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দলের সভাপতি পদে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। নেত্রী তো বারবার বিদায় নিতে চেয়েছেন। তিনি যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া যায় না।’
সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে দলের দায়িত্ব পালন করব। দায়িত্ব পালনে আমি কোনো চাপের মুখে নেই। আমি শারীরিকভাবেও সুস্থ আছি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক পদে আমার থাকা নিয়ে কিছু বলিনি। আমি বলেছি, সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। নেত্রী বার বার বিদায় নিতে চান। তিনি যেতে চাইলেও না যেতে দেওয়াই কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত ভাবনা। বাকি পদগুলোর বিষয়ে নেত্রী যা ভালো মনে করেন তাই করবেন। যেকোনো পদে পরিবর্তন হতে পারে, নেত্রী দলের স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই।’
দায়িত্ব পালনে কোনো অপূর্ণতা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো ট্র্যাকে চলে আসছে। কোনো কাজ অপূর্ণ থাকছে না। কোনো প্রয়োজনে সচিবরা তো আছেনই, তারা ফোন করলে নির্দেশনা দেই। আমি কোন চাপের মুখে নেই, কোন অসুবিধা ফিল করছি না। দলেও আমাদের কিছু সিস্টেম আছে, বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আছেন, কোনো সমস্যা হয়নি এখনো পর্যন্ত। গত দুই বছর ধরে বাইরেই থাকছি, বিকালে এসে আবার ফাইল সই করছি।
ব্রিফিংয়ে বিআরটিএকে নিয়ে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্যর বিষয়েও কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, শ্রমিক নেতা শাজাহান খানকে শ্রমিকদের খুশি রাখতে কিছু কথা বলতে হয়।
রবিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান সড়কে দুর্ঘটনা ও সড়ক নিরাপত্তা আইন নিয়ে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরেই অনেক কিছু হজম করেছি। এখন বদহজম হয়ে গেছে। সেজন্য কিছু সত্য কথা বলতে হবে। তবে সত্য বললে সরকারের ঘাড়ে যাবে, নয়তো বিআরটিএর ঘাড়ে যাবে। আর না বললে আমরা পাবলিকের গালি খাব।’
শাজাহান খানের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বক্তৃতার ভাষাটা ভিন্ন। ওখানে তিনি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা। সেই হিসেবে তাদের খুশি রাখতে তার কিছু কথা বলতে হয়। আমাদের কাছে তো এসব কথা বলে না।’