খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ॥ রেজিষ্ট্রারি মাঠে পুলিশী বাধা পেয়ে সোবহানীঘাটে জেলা বিএনপির সমাবেশ

10
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে রেজিষ্ট্রারী মাঠে জেলা বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশী বাধার কারণে পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখছেন জেলা আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।

স্টাফ রিপোর্টার :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচীতে পুলিশী বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর রেজিষ্ট্রারি মাঠে গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। তবে পুলিশ সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি। পরে পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যেই রেজিষ্ট্রারি মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার। এরপর নেতাকর্মীদের নিয়ে সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসীবাদী বাকশালী সরকার পরিকল্পিতভাবে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারান্তরীণ খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও সরকার পাত্তা দিচ্ছেনা। দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক মনোভাব দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে আইনী প্রক্রিয়ায় দেশনেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়। তাই বেগম জিয়াকে নিয়ে যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। নেত্রীর মুক্তির দাবীতে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠের সমাবেশে পুলিশী বাধা প্রমাণ করে সরকার দেশে বিরোধী মতের রাজনীতি ধ্বংস করে দিতে চায়। প্রতিদিন রাজপথে বিভিন্ন দলের সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও রেজিষ্ট্রারি মাঠে বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। এর পরিনতি ভাল হবেনা। গণতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবেই। আর কোন ‘ষড়যন্ত্র না করে’ অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ‘ফরমায়েসী সাজাসমূহ বাতিল ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলাসমূহ’ প্রত্যাহার করার আহবান জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল গাফফার, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আলী আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, আবুল কাশেম, শামীম আহমদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক একেএম তারেক কালাম, জেলা বিএনপি নেতা হাজী শাহাবুদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুল লতিফ খান, আমিন উদ্দিন আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাহ মাহমুদ আলী, এনামুল হক মাক্কু, দিলোয়ার হোসেন জয়, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, আজির উদ্দিন, শফিকুর রহমান টুটুল, ফারুক আহমদ, মনিরুল হক তুরণ, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কুহিনুর আহমদ, কামরুজ্জামান দীপু, সাঈদ আহমদ, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, ফরিদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহিলা দল নেত্রী মনিজা বেগম, ফাহিমা আক্তার কুমকুম, ফারজানা বক্ত রায়না, যুবদল নেতা ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, আলী আহমদ আলম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, এখলাছুর রহমান মুন্না, আলী আব্বাস, মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমদ চৌধুরী, সুহেল ইবনে রাজা, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা ও তাজুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।