বিজয় দিবস থেকে পর্যায়ক্রমে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসছে বিজয় দিবস থেকে পর্যায়ক্রমে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় থেকে একই প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতাকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, তালিকা হাতে আসা শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ১৬ ডিসেম্বর থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ অগাস্ট সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানায় মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কাজ শুরু করেছে বলে তখন জানানো হয়।
গত ২৬ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
সংসদীয় কমিটির রবিবারের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২১ মে ১৯৭১ সালের বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়। পরে আবারও তাগিদ দেওয়া হয়।
ডিসিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনও বেতনভোগী রাজাকার ছিল না। চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯, শরিয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে ১ জন ও নড়াইলে ৫০ জন রাজাকার ছিল। তবে এসব রাজাকারের নামের তালিকা সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া হয়নি।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজিউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম এবং এ বি তাজুল ইসলাম অংশ নেন।