কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কমলগঞ্জে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও বন্ধ করা যায়নি পাহাড় টিলা কাটা। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও টিলা কাটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ১নংরহিমপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম হল কালেঙ্গা। এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ও টিলা রয়েছে। এসব টিলা ও পাহাড়েরকমলগঞ্জে পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের উদ্যোগ নেই মাটি কেটে বিক্রি করছে পাহাড়খেকোরা। সরকারি দল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা মিলেমিশে পাহাড় ও টিলা কাটছে বলে জানা গেছে। টিলা ও পাহাড়ের মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি। একদিকে কমলগঞ্জে যেমন হারাচ্ছে সৌন্দর্য তেমনি দিন দিন কমছে কৃষি জমি। সচেতন মহলের দাবী আইনের প্রয়োগ না থাকার কারনে বছরের পর এভাবেই পাহাড় টিলা কেটে সৌন্দর্য নষ্ট করছে পাহাড় খেকোরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাহাড় টিলাকাটা অপরাধের সাথে স্থানীয় কিছু অসাধু নেতৃবৃন্দ জড়িত রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের কালেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের সহ কারী প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন চৌধুরী তার বাড়ীর পাশে টিলা কাটছেন যা পাশের রাস্তায় যাতায়াত ব্যবস্থা হুমকিতে ফেলেছেন। যে ভাবে মাটি কাটা হয়েছে মানুষ চলাচলের রাস্তাটি হুমকিতে রয়েছে। মাটি কাটার ফলে বর্ষাকালে এই রাস্তার মাটি ধ্বসে পরার আশংকা রয়েছে। অপর দিকে কালেঙ্গা বাজারের পশ্চিম পার্শে বিরাটাকারে বস্তা দিয়ে পর্দা টানিয়ে মাটি কাটছেন জাহাঙ্গীর নামক এক লোক।
এ ব্যাপারে নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন রাস্তার কোন ক্ষতি হবেনা আমি গাছের বললি দিয়ে রাস্তার মাটি আটকানোর ব্যবস্থা করবো।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমি এ বিষয় অবগত হয়েছি অবৈধ ভাবে মাটি কাটার বিরুদ্বে অভিযান পরিচালনা করবো।এদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।