ছাতকে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০, ৭০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ

22
ছাতকের জাউয়াবাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া শেষে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবস্থান।

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে আ’লীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জাউয়াবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আশরাফ আলী (২০), আল আমিন (২৫), শৌরভ (২০), দুলন (৩০) ও রুবেল (৩৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবি (২৩), আবদুল আলিম (৩৫), শিপন মিয়া (২৫), শিমুল মিয়া (২৫), জনি মিয়া (৩০), জালাল উদ্দিন (৩২), রুবেল মিয়া (২৫), অপু মিয়া (২৫), জালাল আহমদ (২৬)সহ অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাউয়াবাজারে এক মিছিল বের করেন। এ সময় ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাঁধা দিলে শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মুহূর্তের মধ্যে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে থানা ও সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৭০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে সংঘর্ষে দু’পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ। আতঙ্কে পথচারিরা দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। ব্যবসায়িরা তাদের দোকানপাঠ বন্ধ করে নিরাপদে আশ্রয় নেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক গ্র“পের উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জাউয়াবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন জানান, আমাদের এমপিকে কটুক্তি করে প্রতিপক্ষ জাউয়াবাজারে একটি মিছিল বের করলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়।
জাউয়াবাজার ইউনিয়ন আ’লীগের মুকুট গ্র“পের সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদার জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে কটুক্তি করার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। ওই মিছিলে উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। থানার ওসি মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশি মোতায়েন করা হয়েছে।