স্টাফ রিপোর্টার :
কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের অবসরপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ডা. আব্দুস সালামসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়ে গতকাল বুধবার এ মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারি পরিচালক মনজুর আলম চৌধুরী। মামলা নং-২। দুদক সিলেটের উপপরিচালক নূর ই আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন মালামাল ও এমএসআর সামগ্রি ক্রয়ের নামে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ডা. আব্দুস সালামের পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নগরীর ভাতালিয়ার এমএস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মির্জা এসএম হোসেন উরফে সাদ্দাম হোসেন, হাসপাতালের তৎকালীন হিসাব রক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ আটিয়াকে আসামী করা হয়েছে। ডা. সালামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে গতবছর দায়ের করা একটি মামলায় ইতোমধ্যে চার্জশিট প্রদান করেছে দুদক।
গতকাল বুধবারের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল ও মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্ব পায় এমএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি হাসপাতালের মালামাল সরবরাহ না করে ১৬টি ভূয়া বিল তৈরী করে। ওই বিল বাবদ ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২১ মে কোতোয়ালী থানায় দুদক দেড় কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় ১১ নভেম্বর আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে ডা. আবদুস সালাম, আবদুল কুদ্দুছ আটিয়া ছাড়াও আটিয়ার পুত্র আরিফ আহমেদ ও ঢাকার কাকরাইলের মেসার্স প্রাইম এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে ওই চারজন পরস্পর যোগসাজসে টাকা আত্মসাৎ করেন বলে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামীদের মধ্যে তৎকালীন উপপরিচালক ডা. সালাম ও হিসাব রক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ আটিয়া সরকারি চাকরি থেকে ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন বলে জানা গেছে।