কাজিরবাজার ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও লটারির টিকেট কিনে ডলার পাচারের অভিযোগে এই লেনদেনে শর্তারোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত ছিল নির্ধারিত ফরম পূরণ করে অনলাইনে সফটকপি বা ব্যাংকে হার্ডকপি পাঠিয়ে অনুমোদন নেওয়া। কিন্তু আইটিফার্মসহ সংশ্লিষ্টদের চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্যহলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার নতুন সার্কুলার জারি করে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অবৈধ লেনদেনে ঠেকাতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। এছাড়া এই বিষয়টি সমাধানের জন্য ডাকা বৈঠকটিও নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন। কিন্তু অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার নামে এই সুযোগের অপব্যবহার করছেন অনেকেই।
গত ১৪ নভেম্বর অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা ও জুয়া ও লটারিতে অংশ নেওয়াসহ আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের ‘অপব্যবহার’ রোধে সাকুর্লার জারি করে কেন্দ্রীয় বাংক। ওই সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে হলে গ্রাহককে অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফর্ম (ওটিএএফ) পূরণ করে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট প্লাটফর্মের মাধ্যমে বা হার্ড কপি ব্যাংকে জমা দিতে হতো। ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি না পেলে ক্রেডিট কার্ডকে শুধু সেই লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেবে। অনুমোদন ছাড়া অনলাইনে ডলারের কেনাকাটায় কার্ড কাজ করবে না। এর ফলে, অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে ডলার পরিশোধের ক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে জমা দিয়ে ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছিল। এ নিয়ম ‘বাস্তবসম্মত নয়’ বলে দাবি আইটি ফার্মগুলো।