কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
সদ্য ঘোষিত কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রেস রিলিজ পাঠান। সেই আলোকে সিলেট থেকে প্রকাশিত বেশির ভাগ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট আওয়ামীলীগের কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তাদের নাম সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়। গতকাল শুক্রবার ২টি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার শিরোনামে ৭১’সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদনের সংবাদ প্রকাশিত হলে দেখা যায় সেখানে ৮৩ জন, আরো একটি স্থানীয় দৈনিকে ৯৭ জনের নাম থাকায় কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি আসলে কত সদস্য বিশিষ্ট এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে নবগঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন কমিটি নিয়ে কোন ধরনের বিভ্রান্তের অবকাশ নেই, ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটি প্রকৃত আসল কমিটি।
জানা যায় আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র ও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাতে গণমাধ্যমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট আওয়ামীলীগের কমিটির নাম সহ টাইপকৃত এবং হাতের লেখা আরো ১০ জনের নাম সংযুক্ত করে প্রেস রিলিজ গণমাধ্যমে পাঠান। কমিটিতে এক ব্যক্তি নাম দু’জায়গায় রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে কত সদস্য বিশিষ্ট কানাইঘাট আওয়ামীলীগের কমিটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান অনুমোদন দিয়েছেন তা পরিস্কার করার জন্য দলের নেতাকর্মীরা দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে দীর্ঘ ১৩ বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হওয়ায় একদিকে যেমন নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে অপর দিকে দলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা ঘোষিত কমিটিতে যথাযথ ভাবে স্থান না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। কমিটিতে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মস্তাক আহমদ পলাশের অনুসারী বেশীর ভাগ নেতাকর্মী গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী পেয়েছেন। দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী ও দুর্দিনের যারা আওয়ামীলীগের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন এমন অনেক প্রবীণ ও নবীন নেতা কমিটিতে স্থান পাননি বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। অনেক নেতাকর্মী জানান লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত বেশ কিছু পাথর ব্যবসায়ীদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে কিন্তু দলের দুর্দিনে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। আওয়ামীলীগের সহযোগী ও অঙ্গসঙ্গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন নেতা কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ একটি বিশাল সংগঠন। কমিটির পরিধি ছোট হওয়ার কারণে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীদের আমরা যথাযথ ভাবে কমিটিতে জায়গা দিতে পারেনি। তারপরও দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। কানাইঘাটে আওয়ামীলীগ কে সুসংগঠিত করার জন্য সবাই মিলে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।