সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ পরিদর্শন করেছেন ৩ জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী। রবিবার দুপুরে তারা শাহী ঈদগাহ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাঁড়া পড়ে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের টিএসইউআইবি প্রকল্পের আওতায় পরিদর্শনকালে তাদের সাথে ছিলেন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ৩ প্রকৌশলী। পরিদর্শন শেষে জাপানি প্রকৌশলীরা জানান, একটি পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা দেখে তার খুব খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশী হয়েছেন এই ঐতিহ্য ধরে রাখার সার্বিক প্রচেষ্টা দেখে। তারা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশে জাইকার বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হচ্ছে সিলেট। এ এলাকায় কেমন বাড়িঘর, সেগুলো কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে- এসব ব্যাপারে ভবিষ্যতেই বা কি করা যায়- এনিয়ে তারা গবেষণা করছেন। অতীতের বড় ধরণের ভূমিকম্পে এলাকায় কি ক্ষতি হয়েছে- তার কোন নমুনা আছে কি না তাই দেখছেন তারা। নমুনার অংশ হিসাবেই ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ পরিদর্শন। তারা বলেন, এখানকার বিল্ডিংসহ অন্যান্য স্থাপনা সম্পর্কে আমরা প্রত্যক্ষ ধারণা নিচ্ছি। ভবিষ্যতে ভূমিকম্প নিয়ে জাপান বাংলাদেশে করনীয় নিয়ে এসব গবেষনা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
পরিদর্শনে আসা জাপানি বিশেষজ্ঞরা হলেন, ইউনিভার্সিটি অব টোকিওর প্রফেসর ইয়োশিকি নাকানো, জাপানের বিআরআই ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর মাটসুরো সেকি, টিএসইউআইবি প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর আতসুকো হিমেনো। বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের মধ্যে ছিলেন টিএসইউআইবির সিনিয়র কনসালট্যান্ট আব্দুল মালেক শিকদার ও এম আব্দুর রহমান ভূঁইয়া এবং পিডাব্লিউডির এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখারুল ইসলাম। দুপুরে তারা শাহী ঈদগাহে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান মোতাওয়াল্লী জহির বখত। তিনি তাদেরকে সম্পূর্ণ স্থাপনা ঘুরে দেখান ও ঈদগাহের নির্মাণশৈলী বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শাহী ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, কামরান আহমদ কামাল, মোস্তাক আহমদ। স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান পাপ্পু, আব্দুস সালাম ফারুক, আবুল কালাম, আব্দুল হান্নান, সাজু আহমদ ও রিপন আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি