বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ^নাথের আশুগঞ্জ বাজারে জামাল আহমদ নামের স্থানীয় ইউপি সদস্যের ডাকা প্রতিবাদ সভা পন্ড করে দিয়েছে থানা পুলিশ। দোহাল গ্রামের বাসিন্দা জামাল আহমদ রামাপাশা ইউনয়িনের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইর্শাদ আলীর ছেলে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টারদিকে থানা পুলিশের এসআই দিদারুল আলমসহ একদল পুলিশ আশুগঞ্জ বাজারে গিয়ে প্রতিবাদ সভা পন্ড করে দেন। এসময় তিনি (পুলিশ) সভা থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় মুরব্বী ও ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন রামপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরে ইউনয়িন চেয়ারম্যান আলমগীরের অনুরুধে এসআই দিদার মাইক রেখে সভা পন্ড করে চলে যান।
আশুগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল গফুররে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য জামাল আহমদ, সমাজসেবক আব্দুল হামিদ, আয়াজ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন গেদা, উপজেলা বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেছার আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশ্রব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ওয়ারিছ আলী, বিশিস্ট মুরব্বী হাজী আব্দুশ শুকুর, হাজী ছখা মিয়া, ফয়ছল আহমদ।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জামাল আহমদ অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, থানা পুলিশ তার সভা পন্ড করে দেয়, এরপর ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু তার পরও সন্ধ্যায় ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে থানায় গেলে বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মুসা তাদের সঙ্গে দেখা করেন নি। ফলে, রাত সোয়া ৭টায় বাসিয়া ব্রিজের ওপর তারা একটি মানববন্ধন করেছেন।
বিশ^নাথ থানার এসআই দিদারুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশ ছিল তাই জামাল মেম্বারের প্রতিবাদ সভা পন্ড করেছি।
থানা এলাকায় না থাকায় জামাল মেম্বারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি জানিয়ে বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা এ প্রতিবেদকে বলেন, আশুগঞ্জ বাজারে জামাল মেম্বার ও তার প্রতিপক্স একই সময়ে সভা ডাকায় তাদের এ সভা পন্ড করা হয়েছে।
ন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাছির উল্লাহ খান।