সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বড়কাপন পয়েন্টে কলেজ ছাত্রীদের হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১১ গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ছাতকের স্থানীয় কপলা বাজারে উক্ত মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট মুরব্বী রাকিব আলীর সভাপতিত্বে ও মুহি উদ্দিন লিলু মিয়ার পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কপলা গ্রামের পক্ষে- মো. আছন আলী, মো. এরশাদ আলী, মো. নুর আলী, মো. আলকাছ আলী, মো. জমির আলী, সুরিগাঁও গ্রামের পক্ষে- সিরাজ আলী, আসকর আলী গেদা, গোলাম হোসেন, মো. আবু বক্কর, মোগলগাঁও গ্রামের পক্ষে- মো. আব্দুল হক, মো. আব্দুল করিম, মো. রোয়াব আলী, আতারগাঁও গ্রামের পক্ষে- মো. ছোরাব আলী, হাজী কদ্দুস আলী, মো. বাছিত মিয়া, কামরাঙ্গি গ্রামের পক্ষে- মো. আজাদ মিয়া, মো. বকন মিয়া, আব্দুস সাত্তার, মো. রজাক আলী, দুদু মিয়া, মনিয়ারসের গ্রামের পক্ষে- আব্দুর রউফ, ডা. আব্দুল কালাম, আব্দুল আউয়াল, উশাইরগাঁও গ্রামের পক্ষে- মো. হাছন আলী, মো. সামসুল হক, সুনামনি নাথ, মছলন্দরগাঁও গ্রামের পক্ষে- মো. আবুল লেইছ, ফয়জুল করিম, কমর আলী, আব্দুল বারি, নলুয়া গ্রামের পক্ষে- মো. আব্দুল বারী, মনির মেম্বার, হবি মেম্বার, আতাবুল মিয়া, ছইল মিয়া, বাজার কমিটির সভাপতি মো. বিলাল আহমদ, দলশি গ্রামের পক্ষে- হাজী আব্দুল আজিজ, আব্দুস সাত্তার, মাসুম আহমদ, দিলু মিয়া, ডা. আমির হোসেন, এলাইছ মিয়া, নুর উদ্দিন, ফখর উদ্দিন, কাপ্তান মিয়া, সুরুজপুর গ্রামের পক্ষে- মাওলানা আছাব আলী প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়- শ্রীপুর থেকে সরাসরি জাউয়াবাজার গাড়ি চালানো ও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ৬০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। মাননীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সাথে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন- ছাতক থানাধীন জাউয়া বাজার ইউনিয়নের কপলা, সুড়িগাঁও, মোগলগাঁও, সুরুজপুর, চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গি, আহারগাঁও, মনিয়ার সের, পান্ডারগাও ইউনিয়নের জলসী, নলুয়া, উশাইর গাঁও, মছলন্দরগাঁও সহ আশপাশ এলাকার জনসাধারণ দীর্ঘদিন যাবত শ্রীপুর হতে কপলা ও বড়কাপন হয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে তথাকথিত বড়কাপন পয়েন্টে গাড়ী সংগঠন নাম করে মাঝপথে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে অন্য গাড়িতে জাউয়া বাজার পাঠায়। এতে কৈতক হাসপাতালগামী রোগী ও কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ যাত্রীরা সরাসরি জাউয়াবাজারগামী, মাঝপথে নামার কোন প্রয়োজন নেই। তবুও বিনা কারণে গাড়ী সংগঠন তাদের নিজস্ব ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে যাত্রীদের ভোগান্তি দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। যার কারণে কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত সময়ে কলেজে পৌঁছতে পারেন না। হাসপাতালগামী রোগীও ঠিক এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। লাইসেন্সবিহীন ও প্রশিক্ষণ বিহীন ছাড়া বখাটে গাড়ী চালকরা কলেজ ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে। বিজ্ঞপ্তি