তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

19

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
চিকিৎসকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারী বৃন্দ। বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলে। কর্মবিরতি চলাকালীন সময় চিকিৎসক ও কর্মচারী বৃন্দ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উক্ত ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন বর্মন, ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় সরদার, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বেলায়েত হোসেন রুমি, মহিউদ্দিন বিপ্লব, সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমনী আক্তার, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের জনৈক রোগী নুরুল আমিন চিকিৎসা নিতে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তাকে দেখেতে তার আত্মীয় একই গ্রামের আবুল কাশেম রাত ১০ টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সে সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবুল কাশেমকে মারধরের জন্য হাসপাতালের ভেতর তেড়ে আসে। সে সময় জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎস উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফয়েজ আহমদ নুরী তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হন। পরবর্তীতে নৈশ প্রহরী নাঈম মিয়া এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফয়েজ আহমদ নুরী জানান, একদল সশস্ত্র লোকজন হাসপাতালের ভেতর ঢুকতে চাইলে আমি তাদের বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং দা দিয়ে আমার উপর আঘাত করে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সুনামগঞ্জ এর সভাপতি ডাঃ আব্দুল হাকিম বলেন, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসককে বহিরাগত সন্ত্রসীরা মারধরে আহত করা খুবই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। দোষীদের শাস্তির দাবী করে বিএমএর পক্ষ থেকে আমরা একটি বিবৃতি দিচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ফয়েজ আহমেদ নূরী সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বারাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।