সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ বলেছেন, জাতীয় সমবায় দিবস বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি জাতীয় দিবস। এ দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন যেসব সমবায় সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের মাথে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে প্রশিক্ষিত করার লক্ষে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে পল্লীর মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনয়নে সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সমবায়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য তাঁর সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেণ। সমবায় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে আরও তৎপর হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি ২ নভেম্বর শনিবার সমবায় বিভাগ সিলেটের আয়োজনে ৪৮ তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক এস. এম. তারিকুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. তমিজ উদ্দিন খান,। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সমবায় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সমবায় কর্মকর্তা উম্মে মরিয়ম।
কবি মামুন সুলতান ও আবৃত্তিকার ফাহমিদা খান উর্মির যৌথ উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ঘাসিটুলা বেত শ্রমিক সমবায় সমিতির লি. সহ সভাপতি শেখ মো. মইন উদ্দিন, গবাদি পশু ও কৃষি সমবায় সমিতির ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, বহরকলোনী রজনীগন্ধ্যা সার্র্ধিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সম্পাদক হালিমা বেগম প্রমুখ।