সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তুতা মিয়া কারাবন্দী

15

স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি তুতা মিয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবন্দী দাবি করে তার মুক্তি চেয়ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. আলিম উদ্দিন মেম্বার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ কাউন্সিলারগণ সভাপতি পদে কারাবন্দি তুতা মিয়ার নাম ঘোষণা করেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফখর উদ্দিন ও যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালিক মেম্বার এবং ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন মহুরীও সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে তুতা মিয়া সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি বলেন, গত ১১ অক্টোবর সুরইঘাট বাজার মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুতা মিয়া তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। এতেই তুতা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। যার ফলশ্র“তিতে ১৩ অক্টোবর একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দেখিয়ে সিলেট থেকে তুতা মিয়াকে আটক করা হয়। পরে অজ্ঞাতনামা একটি মামলার আসামি দেখিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর ইউপি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এলাকার তরুণ সমাজকর্মী ও দলের নিবেদিত কর্মী কারাবন্দি তুতা মিয়াকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আমরা তার নাম ঘোষণা করি। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মুমিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক জামাল উদ্দিন প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে তুতা মিয়া ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপি আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফখর উদ্দিন পান ৫৪ ভোট, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালিক মেম্বার ২৪ ভোট, আ’লীগ নেতা বুরহান মহুরী ৯ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি ৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী কয়ছর মেম্বার পান ৭৯ ভোট। ভোট গণনার ফলাফলের রিজাল্ট শিটে ফখর উদ্দিন, আব্দুল খালিক মেম্বার ও বুরহান উদ্দিন মহুরী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কয়ছর আহমদ মেম্বার স্বাক্ষর করেন। পরে তারা কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিতদের সম্মান জানিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। এখন তারা পদ হারানোর কষ্টে ও কাউন্সিলরদের সমর্থনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে নানা ছল ছাতুরীর আশ্রয় নিয়ে উক্ত কাউন্সিল বাতিল করার পাঁয়তারা করছেন এবং অপপ্রচার রটিয়ে তুতা মিয়াসহ কাউন্সিলরদের মানহানী করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল লতিফ, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মন্নান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদ মেম্বার, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকারিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. সুলতান করিম।