ওসমানীনগরে এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আটক

13

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে এক সন্তানের জননী ও নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মায়া বেগম (২৫)এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার তাজপুর ইউপির কাদিপুর গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার স্ত্রী ও জগন্নাথপুর উপজেলার জয়দা গ্রামের আনা মিয়ার মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূর স্বামীর বসতঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মায়া বেগমের স্বামী সজ্জাদ মিয়া (৩৫) কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মায়া বেগমের স্বামীর বাড়ি থেকে ফোনে নিহতের পিতা ও মামার বাড়িতে জানানো হয় দ্রুত কাদিপুর মায়ার শ^শুর বাড়িতে আসার জন্য। খবর পেয়ে মায়া বেগমের স্বজনরা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মায়া বেগমের নিথর দেহ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর মামা কালাম মিয়া বলেন, যৌতুকের জন্য প্রায় সময়ই মায়ার স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করত। তার ৫ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত কয়েক দিন পূর্বে তার স্বামীকে আমরা ৪টি গরু দিয়েছি। যৌতুকের জন্য মায়াকে ওরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাঠক সাজাতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গৃহবধূ মায়া বেগমের লাশ উদ্ধার ও সুরতহালকারী এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতরে মৃত দেহ মাটিরভরে নিলডাইন ও ফ্যানের সাথে ঝুলানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবদের জন্য নিহতের স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের স্বামী সজ্জাদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।