কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বাসে পেট্রোল বোমা চালিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে নাশকতার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি ধার্য করেছে আদালত।
কেরানীগঞ্জের কারাভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে বৃহস্পতিবার ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইকবাল হোসেন শুনানি শেষে এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটির কার্যক্রমের উপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় শুনানি পিছিয়ে দেন আদালত।
মামলাটির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারা হেফাজতে পিজি সাহপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
একই ঘটনায় হত্যা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও ২টি চার্জশিট দাখিল দাখিল হয়েছে। ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ চার্জশিটগুলো দাখিল করেন।
চার্জশিটে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি হিসেবে ১ নম্বর রাখা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামান খান সোহেল, বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রবাড়ী এলাকার সাবেক এমপি সালাদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী এবং সেলিম ভূইয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোর্ডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যায়।
ঘটনার পর পরিককল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রবাড়ীর ছাত্রদল শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকালেও এজাহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।