মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জ বাজারে বিরোধপূর্ণ জমিতে দোকান কোঠা পাশে প্রাচীর নির্মাণ করায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে।
২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের ভৈরবগঞ্জ বাজার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহসড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া কিছু দিন পূর্বে বাজারের একটি দোকান ভিটা ক্রয় করেন। আনোয়ারের ক্রয় করা ভূমি জরিপ করে দেখা যায় তার জায়গার কিছু অংশ পাশের জনৈক লন্ডন প্রবাসী তৈয়ব মিয়ার একটি দোকান ঘরের মধ্যে পড়েছে। ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়ার মধ্যে ওই দোকানের অংশ দখলে নিয়ে দেয়াল প্রাচীর নির্মাণ করেন। তবে লন্ডন প্রবাসী তৈয়ব মিয়া আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
এ নিয়ে দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠক চলছিল। এতে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালে লন্ডন প্রবাসীর পক্ষের প্রায় শতাধিক লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে আনোয়ার মিয়ার দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে নির্মাণকৃত দেয়াল প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো বাজার রণক্ষেত্র পরিণত হয়। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে বেশি ভাগই ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়ার পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, ওসি আব্দুছ ছালেক নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দোকানের ভূমির বিরোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক চলাকালে তৈয়ব লন্ডনীর পক্ষের জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফজলুর রহমান ফজলু, রাজ মিয়া, জিলা মিয়া নেতৃত্বে আমার দোকান প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার লন্ডন প্রবাসীর অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফজলুর রহমান ফজলু বলেন, ঘটনার সময় অন্য একটি উপজেলায় একটি সালিশ বৈঠকে ছিলাম।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেক বলেন, আনোয়ার মেম্বার ও তৈয়ব লন্ডনী পক্ষের মধ্যে বিরোধীয় বিষয় নিয়ে ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠক চলছিল। এ বৈঠক চলাকালে একটি পক্ষ আনোয়ারের দোকানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ভৈরবগঞ্জ বাজারে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।