জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের টিপরাখলা সীমান্তে বাংলাদেশী আব্দুন নুর (৪৫) নামের এক ব্যক্তি সহ শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় খাসিয়ারা। এ ঘটনায় সীমান্তে দু-দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, (১২ অক্টোবর) শনিবার টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা হারিছ উদ্দিনের ছেলে ১ সন্তানের জনক ফিরোজ মিয়া(৩৮) ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াইবস্তির বাসিন্দা চংকর খাসিয়া’র স্ত্রী ৫ সন্তানের জননীকে প্রেমের সুবাধে বাংলাদেশে নিয়ে এসে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৮নং আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দু’দেশের পতাকা বৈঠক হয় এবং বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ফিরোজ সহ তার প্রেমিকাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় ৫ সন্তানের জননীকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফিরোজের পরিবারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে তারা জানায় ঘটনার দিন থেকে আমরা তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিনা। সে বাংলাদেশে না অন্য কোথাও আছে আমাদের জানা নেই।
২দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় নারীকে ফেরত না দেওয়ায় ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ১২৮৮নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৩ এস পিলার হতে ৬ এস পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আব্দুন নুর (৪৫) সহ প্রায় শতাধিক গরু ধরে নিয়ে যায় সীমান্তে অপারে। এদিকে ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশী নাগরিক সহ গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ১৯বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির, নিজপাট ইউপির সদস্য মনসুর আহমদ, আব্দুল হালিম। অপরদিকে গরু ধরে নিয়ে যাওয়া এবং নারীকে ফিরিয়ে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুরের টিপরাখলা সীমান্তে দু-দেশের নাগরিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে উত্তেজনা চরম আকার ধারন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যপারে ১৯ বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির বলেন, আমি ১২ অক্টোবরের ঘটনার পর ভারতীয় বিএসএফ’এর মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সাথে আলাপকরে ২ দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা গুরুত্বের সাথে আমলে নেয়। কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুন নুর সহ বেশ কিছু গরু ধরে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। খাসিয়ারা বাংলাদেশীদের গরু ধরে নিতে না পারে সে জন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।