সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ স্বজনদের

11

স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জের পাথর ব্যবসায়ী বশর মিয়াকে (৪৮) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। গত ১১ জুলাই তাকে গ্রেফতারের পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে মামলাও হয়েছে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- তাকে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা প্রভাবশালীদের দিকে আঙ্গুলও তুলেছেন। একই সাথে বশর মিয়াকে গ্রেফতার ছাড়াও তার পরিবারের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও তুলেছেন তারা।
শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন বশর মিয়ার ভাই কোম্পানীগঞ্জের জালিয়ার পার গ্রামের রহুল আমিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ব্যবসার করে আমরা যে সুনাম অর্জন করেছি সেই সুনাম ধ্বংস করে দিচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। অর্থ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাবে প্রভাবিত পুলিশ। সাধারণ মানুষকে মামলার আসামী থেকে শুরু করে, পাথর কোয়ারী থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায় করাসহ এমন কোন কাজ নেই পুলিশ করে যাচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তাকে হয়রানি করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রভাবশালী মহলের পরামর্শে অবৈধ কাজ করেই যাচ্ছে। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে মনে হয় থানা যেন প্রভাবশালীদের দখলে? সাধারণ মানুষ কোনভাবেই থানা থেকে নৈতিক সুবিধা পাচ্ছেনা। তবে প্রভাবশালীরা থানা পুলিশকে বলে দিলেই যেকোন কাজই হয়ে থাকে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য প্রভাবশালীদের দিক-নির্দেশনায় চলতি বছরের ১১ জুলাই আমার ভাই পাথর ব্যবসায়ী বশর মিয়াকে (৪৮) আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যে সাজানো মামলায় আমার ভাই এখনও অন্যায়ভাবে কারাভোগ করছে। ওই সময়ে অভিযানের নেতৃত ¡দেন সিলেট র‌্যাব-৯ এর ডিএডি সোহেল রানা। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পরদিন ১২ জুলাই সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এসময় আমার ভাই বশরের কাছ থেকে নাকি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আসলে এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান, পাথর চুরি, পরিবেশের মামলাসহ ১৪টি মামলায় পরিকল্পিতভাবে আসামি করা করা হয়েছে। এসব মামলার অধিকাংশই বাদী পুলিশ। কোম্পনীগঞ্জ থানায় শুধু আমাদের পরিবার নয় অনেক নিরীহ পরিবারকে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে টাকার বিনিময়ে আসামী করা হয়। এছাড়াও সম্প্রতি আমার আরেক ভাই ব্যবসায়ী কালা মিয়াকেও একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামী করা হয়েছে।’
প্রভাবশালী এ চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে এবং অহেতুক মামলা থেকে তার ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি থেকে মুক্ত করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন।