সম্রাট হাসপাতালে চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
‘ক্যাসিনো সম্রাট’ ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ১৩ বছর আগে সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। আজ (বুধবার) সম্রাটকে হাসপাতালে রাখা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সম্রাটকে মাদক ও অস্ত্র মামলায় দশ দিন করে বিশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রিমান্ডের শুনানি হওয়ার কথা। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সম্রাটের সহযোগী আরমানেরও মাদক মামলায় দশ দিনের রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আফজালুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সম্রাটের অবস্থা ভাল। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। জরুরীভিত্তিতে করা পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল। শুধু তাই নয়, যে কারও চিকিৎসায়ই অবহেলা করা হয় না। বুধবার মেডিক্যাল বোর্ড মিটিংয়ে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সম্রাট দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে বুকে ব্যথা উঠলে তাকে দ্রুত কারাগার থেকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
এদিকে সোমবার রাতে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। ঢাকা মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরা সম্রাটের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন ও রিমান্ড শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
অন্যদিকে রমনা থানায় দায়ের মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত আরমানের উপস্থিতিতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর ও রিমান্ড শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করে। প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর উপসহকারী পরিচালক আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন। সম্রাট দুই মামলায় আসামি হলেও আরমানকে শুধু মাদক মামলায় আসামি করা হয়।
সর্বশেষ সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব সূত্র জানা গেছে, দেশে ক্যাসিনো জুয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে খালেদ মাহমুদ, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ফিরোজ, জি কে শামীম, সেলিম প্রধান, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সম্রাটের সহযোগী আরমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। তাদের টিএফআই সেলে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। কারণ এরা পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। তথ্যে গরমিল হচ্ছে। এজন্য তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আটকদের অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।