কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় অবদান রাখার জন্য চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেলেন। ফিজিক্যাল কসমোলোজি বিষয়ে গবেষণায় এই পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পিবলস এবং সূর্যের মতো নক্ষত্রকে পরিভ্রমণরত এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন সুইজার্যান্ডের মিশেল মায়োর এবং যুক্তরাজ্যের দিদিয়ের কেলোর। তাদের সম্মানী হিসেবে ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেয়া হবে। মঙ্গলবার সুইডেনের স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টা) এ বিভাগের নোবেল ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডেনের দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস থেকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নোবেল কমিটি জানায়, সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহ আছে, যেটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে অন্যান্য গ্রহের মতোই- যার নাম এক্সোপ্ল্যানেট, এটি আবিষ্কারের জন্য নোবেলের অর্ধেক অংশ যৌথভাবে পেয়েছেন মিশেল মায়োর এবং দিদিয়ের কেলোর। এছাড়া ভৌত মহাজাগতিক তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য পুরস্কারের দুই ভাগের এক ভাগ পেয়েছেন জেমস পিবলস।
প্রতিবছর বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালে ৫৫ বছর পর প্রথম কোন নারী পদার্থবিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পায়। তার সঙ্গে পান আরও দুজন। লেজার নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য তাদের পুরস্কার দেয়া হয়। আর এ বছর পদার্থবিজ্ঞান শাখায় পুরস্কার দেয়া হলো মহাকাশ নিয়ে যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিয়ে। এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার কারণেও এখন আরও অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেটের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১৮৯৫ সালের নবেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।