স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বেশীরভাগ পূজামন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় বেড়ে চলেছে। ধূপের ধোয়া আর ঢাকের শব্দে মানুষের ভিড় ঠেলে নজরে পড়ে দুর্গতিনাশিনী দশভূজা দেবী দুর্গার শান্ত-সৌম্য মুখখানি। গতকাল শনিবার মহাসপ্তমীতে সকাল থেকে শুরু হয় ভক্তদের মাতৃ-দর্শনের পালা। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবকে সঙ্গী করে ঘুরে ফিরছেন মন্ডপে মন্ডপে ভক্তরা।
আজ মহাষ্টমী। মহাষ্টমীর এ দিন শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। এদিন দেবীর সন্ধিপূজা এবং কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বŸীরা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতেই বিশেষ রীতি মেনে স্নান করানো হয় মা দুর্গাকে। মা দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান সেরে, বস্ত্র ও নানা উপচারে মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ত্রিনয়না দেবীর তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন শেষে দেবীর সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ছিল এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি। উপোস রেখে দেবীর পায়ে ফুলের অঞ্জলি দিয়ে চরণামৃত পান করে দিন শুরু করেন ভক্তরা। এ সময় পূজামন্ডপগুলোতে ছিল মায়ের ভক্তদের ভিড়। সকালে ধর্মীয় আচার সেরে ভক্তরা ঘুরতে ফিরতে শুরু করেন পূজামন্ডপগুলোতে। বাদ্য-বাজনা আর ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে নগরীর পূজামন্ডপগুলো। চলে প্রতিটি পূজামন্ডপে আরতী প্রতিযোগীতা।
নগরীর কয়েকটি মন্দিরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সপ্তমীতেই উৎসবের রং লেগেছে। নানা বয়সী পূজারী আর ভক্তদের ভিড় ছিল নজরে পড়ার মত। সন্ধ্যার পর এ ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
পুরোহিতরা জানান, সপ্তমী দিন থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ফলে এদিন থেকেই ভক্তরা ভিড় করতে শুরু করেন মন্ডপে মন্ডপে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকেই ভক্তরা এসেছেন। এ সময়েও প্রচুর মানুষ।
এদিকে, প্রতিটি পূজামন্ডপেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক, আনসার ও পুলিশ এর পাশাপাশি র্যাবের ঢহল টিম নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।