বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ব্যাপক ধরপাকড় সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকানোর ষড়যন্ত্র – জেলা বিএনপি

11

২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রেজিষ্ট্রারী মাঠের বিভাগীয় সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গণগ্রেফতার চালিয়ে সমাবেশ বানচাল করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারী দেন তারা। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় লিফলেট বিতরণ কালে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের ১২ জনেরও অধিক নেতাকর্মীকে আটকের খবর পেয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণগ্রেফতারের নামে হয়রানী বন্ধ করে অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীর জানান তারা।
রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এর অংশ হিসেবে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের উপর গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যে রবিবার লিফলেট বিতরণ কালে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মাসুক আহমদ, ছাত্রদল নেতা রাশেদ আহমদ, জাকির আহমদ, তারেক আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নোমান উদ্দিন মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদল বিএনপি নেতা মাওলানা বাহা উদ্দিন, উপজেলা যুবদল নেতা শামীম আহমদ ও চঞ্চল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রফিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের খবর আসছে। এই গণগ্রেফতারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মাঝে আতংক ছড়ানো হচ্ছে। যাতে সমাবেশে লোক সমাগম বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা। সকল জুলুম-নিপীড়ন ও গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে রেজিষ্ট্রারী মাঠে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। সমাবেশ সফলের মাধ্যমে প্রমাণ হবে ফ্যাসীবাদের যাতাকলে পিষ্ট হয়েও সিলেট বিএনপি এখনো স্বগৌরবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। গণগ্রেফতারের নামে হয়রানী বন্ধ করে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান তারা।