বিছনাকান্দি থেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী আরব আলী গ্রেফতার

10

স্টাফ রিপোর্টার :
গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি থেকে দু’টি রিভলবারসহ আরব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার ওয়াতির আলীর পুত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের রুট হয়ে ওঠেছে গোয়াইঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত। এ সীমান্ত দিয়ে ১২ চেম্বারের টু টু বোরের অত্যাধুনিক রিভলবারও ঢুকছিল বাংলাদেশে। বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারত থেকে অস্ত্র আনার মূলহোতা ছিলেন আরব আলী। আরব আলীকে গ্রেফতারের বিষয়ে গতকাল বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।
তিনি জানান, আরব আলী গত দুই বছর ধরে সীমান্তবর্তী ভারতের লাংখাট বাজার থেকে সবজির ব্যাগে ভরে চারটি চালানে ১০টি অস্ত্র বাংলাদেশে এনেছেন। অস্ত্রগুলো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুস শহীদ ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনছার মিয়ার কাছে পৌঁছে দেন আরব আলী। আনছার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লাহর পুত্র এবং শহীদ একই ইউনিয়নের টিয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র।
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, সর্বশেষ চালানে চারটি অস্ত্র এনেছিলেন আরব আলী। তন্মধ্যে দুটি অস্ত্র আবদুস শহীদের কাছে বিক্রি করেন দেন। ওই অস্ত্র দুটি নিয়ে ঢাকায় গিয়ে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর ইউনিটের সদস্যদের হাতে গত ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন তারা। তাদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দোলন মিয়া নামের আরেকজন ছিল। শহীদ ও আনছার পুলিশের কাছে আরব আলীর বিষয়ে তথ্য দেয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আরব আলীকে তার বাড়ি থেকে দুটি রিভলবারসহ গ্রেফতার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরব আলীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, ভারতের বারিক নামের একজন সবজির ব্যাগে ভরে অস্ত্র নিয়ে আসতো লাংখাট বাজারে। সেখান থেকে আরব আলী অস্ত্র কিনে নিয়ে আসতেন বাংলাদেশে। আরব আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।