বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

13
বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে আটক ফরিদ মিয়া।

জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
১০ বছর আগে ছাতকের রাধানগর গ্রামের আমির আলীকে ধর্মীয়ভাবে মামা ডাকেন অটোরিক্সা চালক ফরিদ মিয়া (২৮)। এরপর গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ফরিদ মিয়া তার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ করেন আমির আলী নামের ওই মামার প্রতিবন্ধী বড় মেয়েকে। ঘটনার সতদিনের মাথায় গত (৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাতে ফরিদকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা ওই প্রতিবন্ধী যুবতী, (মামলা নং-৭)। মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার ভোররাতে ধর্ষক ফরিদ মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পেশায় অটোরিক্সা চালক ফরিদ বিশ্বনাথ উপজেলার কোনাউরা (নোয়াগাঁও) গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে আত্মীয়তার পর একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসায় কেটে যায় আরও ৪বছর। তারপর ২০১৩ সালে আমির আলীর প্রতিবন্ধী মেয়ে সারজানা বেগমের (২১) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ফরিদ। এরপর ওই সম্পর্ক গভীর হতে কেটে যায় আরও ৫বছর। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর গত ৪ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতাও আত্মসাৎ করেন ফরিদ। অবশেষে চলতি ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর রবিবার ফরিদ মিয়া তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই প্রতিবন্ধী মামাতো বোনকে। এরপর তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। পরবর্তিতে ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর ৭সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন ওই প্রতিবন্ধী যুবতী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, মামলার বাদি ধর্ষিতা যুবতী বলেন, সরল বিশ্বাসে তার সর্বনাশ করেছে ফরিদ। আর এ জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে ফরিদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ফরিদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।