আন্ত:বিভাগীয় গাড়ি চোর তবারকের সিএনজি অটোরিক্সাসহ দুই মাদক ব্যবাসয়ী গ্রেফতার

17
বিশ্বনাথে গাঁজা সহ পুলিশের হাতে আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী।

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে মাদক পাচারকালে আন্তঃবিভাগীয় গাড়ি চোর চক্রের গড ফাদার তবারক আলীর অটোরিক্সাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এ সময় ওই দু’জনসহ গাড়ি থেকে আধাজেজি গাঁজা উদ্ধারসহ তবারক আলীর স্ত্রী সাবিনা বেগমের মালিকানাধীন অটোরিকশা (সুনামগঞ্জ-থ ১১-২০৬৭) জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বাদি হয়ে গ্রেফতার হওয়া দু’জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ২৪, তারিখ ২৬.০৮.১৯ইং)। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদক ব্যবসায়ী দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাজী আরিছ আলীর ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী ফয়ছল আহমদ (৩৫) ও পার্শ্ববর্তি মনোহরপুর গ্রামের মৃত আবদুন নূরের ছেলে সিএনজি চালক গফুর আলী (২২)। আর সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক গাড়ি চুরির মামলায় অভিযুক্ত থাকা তবারক আলী একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর ছেলে। আন্তঃবিভাগীয় গাড়ি চোরচক্রের গডফাদার তবারককে মাদক রাজ্যে ‘ইয়াবা সুমন’ নামে সারা বাংলাদেশের মাদক ব্যবাসয়ী গডফাদাররা চেনেন বলে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রমতে, ২০১১ সালের ১৫আগষ্ট বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গাড়ি চুরির ১৯ নং মামলায় গ্রেফতার করা হয় তবারক আলীকে। পরবর্তিতে ওই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার তৎকালীন এসআই মারফত আলী ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে তবারককে দুই দিনের রিমান্ডে আনেন। পরদিন ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে হাতকড়াসহ থানা হাজত থেকে পালিয়ে যায় গাড়ি চোর তবারক। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করেন এসআই মারফত আলী। থানা হাজত থেকে ওই আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তৎকালিন সময়ে ডিউটিরত এ,এস,আই আবু মোকছেদ ও কনেষ্টবল আব্দুর রাজ্জাক’কে ক্লোজ করা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, তাদের ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে এবং মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।