কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের মৃত উস্তার মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন শহরে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় একটি শেওল গাড়ি ষ্টিলের রেডিমেট ঘরে ধাক্কা দিলে ঘরটি সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়ে আজাদ মিয়ার উপরে পড়ে যায়। আজাদের মাথা ও শরীর থেঁতলে প্রচন্ড আঘাত পেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ১ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আজাদের লাশ বাংলাদেশে আসেনি। আজাদের মুখ এক নজর দেখার জন্য আহাজারি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের পরিবার ও প্রবাসী নেতারা বলেন, বাংলাদেশি হাই কমিশনের অবহেলার কারণে আজাদের লাশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা হাসপাতাল মর্গে দীর্ঘ ১ মাস ধরে পড়ে আছে। ইউএই’র বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানালেও এগিয়ে আসেনি হাইকমিশন।
আজাদের অসুস্থ মা রোকিয়া বেগম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে অমানবিক আচরণ করছেন। তার বৈধ সব কাগজপত্র থাকার পরেও সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
আজাদের বোন সাজনা আক্তার জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বর আজাদ মিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত যান। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে আজাদ মিয়া ৩য়। আজাদ মিয়া অবিবাহিত। বড় ভাই ও ২ বোনের বিয়ে হয়েছে। বাবা নেই, মা অসুস্থ।
প্রবাসী নেতারা বলেন, ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে গিয়ে দেশের চলমান আইন অনুযায়ী বিজনেস পেশায় (এক্বামা) আইডি লাগান আজাদ। পাশাপাশি কাজও শুরু করেন। গত ২৫ জুলাই আল-আইন শহরে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় একটি শেওল গাড়ি ষ্টিলের রেডিমেট ঘরে ধাক্কা দিলে ঘরটি সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়ে আজাদের উপরে পড়ে যায়। আজাদের মাথা ও শরীর থেঁতলে প্রচ- আঘাত পেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য সংযুক্ত আরত আমিরাতের জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাচ্চুর নেতৃত্বে একটি টিম হাইকমিশনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর বেলাল উদ্দিন তাদের বলেন, এই প্রফোশনের শ্রমিকের লাশ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো যাবে না।