নতুন করে ফিল্ডিং শিখছে টাইগাররা

12

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে প্রতিযোগিতার হার বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। সবাই চায় নিজেকে ছাড়িয়ে অন্যন্য এক উচ্চতায় পৌঁছাতে। ম্যাচ জিততে নিজেকে উজাড় করে দিতে চায় সবাই। আর একটা ম্যাচ জিততে হলে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে হয়। তবে পরিস্থিতির বিচারে অনেক সময় শুধু মাত্র ফিল্ডিং দিয়েও কখনো কখনো ম্যাচ চিত্র পাল্টে দেওয়া যায়।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল সবচয়ে খারাপ। যার ফলে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। ফিল্ডিংটা ভালো হলে হয়তো বিশ্বকাপের ফলাফলটা অন্যরকমও হতে পারতো। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশকে এখন ফিল্ডিং শিখেতে হচ্ছে নতুন করে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টকে সামনে রেখে শনিবার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের মাঠের অনুশীলন। আর অনুশীলনের প্রথম দিনই ক্রিকেটাররা ঘাম ঝরিয়েছেন ফিল্ডিং নিয়ে। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সাখে কথা বলেন বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। ফিল্ডিং নিয়ে জানান পরবর্তী পরিকল্পনার কথা।
কুক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই উন্নতি করার চেষ্টা করছি। তবে ফিল্ডিংয়ের প্রাথমিক দীক্ষাগুলোই এখন ভালো ভাবে রপ্ত করতে হবে। বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি সুযোগ ক্রিকেটাররা হাত ছাড়া করেছে। যেটা ফলাফল আমাদের পক্ষে ছিল না। ছেলেরাও এটা জানে। তাই উন্নতির জন্য প্রতিদিনই কঠিন পরিশ্রম করছে।’
এত বছর ক্রিকেট খেলার পরও এখন কেন ক্রিকেটারদের নতুন করে ফিল্ডিং শিখতে হচ্ছে সেই বিয়ষ নিয়ে ফিল্ডিং কোচ বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের খুটিনাটি বিষয়গুলো অর্নূধ্ব-১৫ কিংবা বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে শিখে আসতে হয়। কিন্তু দলের ক্রিকেটাররা সবাই একই জায়গা থেকে উঠে আসে না। যেমন ধরুন এবাদত হোসাইন বয়স ভিত্তিক পর্যায় থেকে উঠে আসেনি। তাই এধরনের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো বেশ কঠিন হয়ে যায়।’
বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশি কিছু ক্যাচ হাত ছাড়া করে টাইগারা। তাই ক্যাচিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে কুক বলেন, ‘আমাদের ক্যাচিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি ভালো ক্যাচ ধরেছি আমরা। শ্রীলঙ্কা সফরেও ভালো ক্যাচ ধরেছি। মূল সমস্যা হলো আমরা ধারাবাহিক না। কিন্তু এটাতে ধারাবাহিক হওয়া উচিৎ। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা এখন কাজ করবো।’
এত কিছুর পরও সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো কেনো বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে এত পিছিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তরে কুক বলেন, ‘আমারা মনে হয় ফিল্ডিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ফিল্ডিংটাও গুরুত্বের আওতায় আনা উচিৎ। যেটা তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। একজন ক্রিকেটারের যদি লক্ষ্য থাকে আমি বিশ্বের সেরা ফিল্ডার হবো তাহলে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা সম্ভব। সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন মানসিকতা নেই, যেই মানসিকতা গড়ে তোলা উচিৎ। পেস বোলার যারা বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করে তারা ফিল্ডিং নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করে না। তাই এদিক গুলো নিয়েও এখন কাজ করা প্রয়োজন।’