কাজিরবাজার ডেস্ক :
উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ‘উৎপাদনশীলতার ধারণা’ শীর্ষক অধ্যায় সংযোজন করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে এনপিও প্রণীত খসড়া কনটেন্ট ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) পাঠানো হয়েছে। এটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল এফসিএ, এনপিও পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান, বিসিআইসি, নাসিব, বিইএফ, বিজেএমসি, এমসিসিআই, এফবিসিসিআইসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর অপচয় ও অদক্ষতা দূরীকরণে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ জোরদারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে চিনিকলগুলোর রিকভারির হার বাড়াতে উন্নত ইক্ষুজাত উদ্ভাবন এবং মাঠ পর্যায়ে এর ব্যবহার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে বিভিন্ন ট্রেডবডির সঙ্গে এনপিওর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর আলোকে এনপিও থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডির সদস্যদের নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিকমানের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস দেয়া হবে।
আবদুল হালিম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনলেও এগুলোকে লাভজনক করার সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লোকসান হওয়ার পেছনে কারণগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এর আলোকে আসন্ন মাড়াই মৌসুমের জন্য কার্যকর কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আসন্ন মাড়াই মৌসুমেই চিনি শিল্পের ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি চিনিকলগুলোর পাশাপাশি বিসিআইসি ও বিএসইসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কারখানাগুলোতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও লিকেজ দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
সভায় তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর প্রয়াস জোরদারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় শ্রমিকের দক্ষতা বাড়ানো ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, জেলা পর্যায়ে স্থাপিত বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাষ্টারপস্ন্যান বাস্তবায়ন, ট্রেডবডিগুলোর সঙ্গে এনপিওর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
এতে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের আওতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। একই প্রতিষ্ঠান যাতে বারবার এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হয়, সে লক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের এর জন্য আবেদনে আগ্রহী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এনপিওকে নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রয়োজনে আবেদনের ফরম সরলীকরণের ব্যবস্থা নিতেও এনপিওর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।