কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে এক ভারতীয় গরু-মহিষ চোরা কারবারীর ঈদ পিকনিক পাটিতে যাবার সময় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আলিম উদ্দিন হুনা মিয়া নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া আলিম উদ্দিন হুনা মিয়া (৪৬) এর বাড়ী কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি সীমান্তবর্তী ডাউকেরগুল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, সীমান্তবর্তী বড়গ্রামের মইন উদ্দিনের পুত্র ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু মহিষ চোরাকারবারী ব্যবসা করে অল্পদিনে কোটিপতি সুলতান আহমদ ঈদের আনন্দ করার জন্য গত ১৩ আগষ্ট নিজ এলাকা থেকে ১৫/২০টি মোটর সাইকেল ভাড়া করে ২৫/৩০ জন লোক নিয়ে জাফলংয়ে পিকনিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের চতুল ঈদগাহ বাজারে প্রতিযোগিতা করে মোটর সাইকেল চালানোর সময় চোরাকারবারী গরু ব্যবসায়ী সুলতানের মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আলিম উদ্দিন হুনা মিয়া সহ ২ জন গুরুতর আহত হন। আহত হুনা মিয়াকে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার পর গত সোমবার বিকাল ৫টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে সুলতান আহমদ।
জানা গেছে, নিহতের লাশ গতকাল মঙ্গলবার ময়না তদন্ত ছাড়াই তার নিজ এলাকায় বাদ আছর দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলে ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেছেন, গত কয়েক মাস থেকে সুলতান সহ তার আরো কয়েকজন সহযোগি ভারত থেকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে হাজার হাজার গরু-মহিষ কানাইঘাটে এনে বিক্রি করে অল্প দিনে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে অন্যান্য ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ও করত। ঈদের আনন্দ করার জন্য ঈদের পর দিন এলাকায় সুলতানের যারা গরু-মহিষ আনা নেওয়া করত তাদের নিয়ে সে পিকনিক করার জন্য জাফলংয়ে যাওয়ার সময় দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হুনা মিয়া দুর্ঘটনায় মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী চোরাকারবারী সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুলতান আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাফলংয়ে কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে ২২/২৫ জন সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দ করার জন্য যাচ্ছিলেন স্বীকার করে বলেন সবাই ঈদের আনন্দ করতে যাচ্ছিলাম। আমার সাইকেল থেকে পড়ে নয়, জুদ্দিনের সাইকেল থেকে পড়ে হুনা মিয়া আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ভারতীয় গরু মহিষ ব্যবসার সাথে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, অনেকে এ ব্যবসা করছেন তাই আমিও করছি।